গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদের স্মরণ সভা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদের পরলোকগমনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩.০৭.২০২২ইং তারিখ রোজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো: সিরাজুল ইসলাম, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো: মোতাহার হোসেন মন্ডল, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন মো: রফিকুল আলম, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা এবং অধ্যাপক হোসেন আরা শাহেদের ছেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ।
বক্তরা মরহুমার কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ অত্যন্ত স্বল্পভাষী ও নিভৃতচারী একজন মানুষ ছিলেন। তবে সমাজের প্রতিটি বিষয় তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং নিজ লেখনীর মাধ্যমে তা তুলে ধরতেন। অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদের ছেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ বলেন- একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট হিসেবে সফলতার পাশাপাশি মা হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্যা। মা তাঁর সমসাময়িক সময়ে নারীবাদ নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন তবে প্রতিটি রচনা ছিল নান্দনিক। আগামী প্রজন্মের কাছে অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদের লেখনী ও কর্মময় জীবন তুলে ধরতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথাও বলেন মরহুমার ছেলে।
অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ দীর্ঘ ৪০ বছর রাজধানাীয় শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্যিক হোসনে আরা শাহেদের রচিত নিহত আগন্তুক, স্মৃতিময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫০টির অধিক গ্রন্থ পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত। অধ্যাপক হোসেন আরা শাহেদ কলামিস্ট হিসেবেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেন। ২০০০ সাল থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। বিগত ৭ জুলাই, ২০২২ইং তারিখে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯বছর।